প্রকৌশলীদের পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)র ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিবসটিকে আইইবি ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ হিসেবে প্রতিবছর উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করে আসছে।
‘উন্নত জগত গঠন করুন’ এ সুমহান আদর্শ সামনে রেখে জাতীয় উন্নয়ন তথা দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৪৮ সালের ৭ মে ইনস্টিটিউশন যাত্রা শুরু করে।
১৯৪৮-এ পাকিস্তান সৃষ্টির পর আইইবি-ই একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান, যার সদর দফতর বাংলাদেশে অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ (বিজয়ের মাত্র ১০ দিনের মধ্যে), সেই সভাতেই ‘ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স পাকিস্তান’ নাম পরিবর্তিত হয়ে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ নামকরণ করা হয়। আইইবি প্রকৌশলীদের গর্ব এবং অহংকার।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা বলেন, এই সংগঠন প্রকৌশল শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন, বিশ্বের নিত্য নতুন আধুনিক প্রযুক্তির সাথে প্রকৌশলীদের পরিচয় করে দেয়া, বিদেশী প্রযুক্তিকে দেশোপযোগী করে প্রয়োগ, বিভিন্ন কারিগরি ইস্যু, উন্নয়ন কর্মকান্ডে সরকারকে পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত প্রণয়নে সহযোগিতা করা এবং প্রকৌশলীদের মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ সাধনে ইনস্টিটিউশন ৭৬ বছর ধরে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ৭ মে আইইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সকাল ১০টায় আইইবি সদর দফতর, রমনা, ঢাকা প্রাঙ্গণে জাতীয় ও আইইবি’র পতাকা উত্তোলন, শপথ গ্রহণ ও র্যালি হবে।
একই দিন সারা দেশব্যাপী আইইবি’র ১৮টি কেন্দ্র, ৩৩টি উপকেন্দ্র এবং ১৩টি ওভারসীজ চ্যাপ্টারেও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ডে উপলক্ষে দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। এছাড়াও আইইবির বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগ, কেন্দ্র/উপকেন্দ্র এবং ওভারসীস চ্যাপ্টারসমূহে মাসব্যাপী ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’র কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।