Posted on Jul 06, 2024 11:35:36 AM.
ইরানের নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান। শুক্রবার অনুষ্ঠিত ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ান। জনগণের ভোটে নির্বাচিত পেজেশকিয়ান পেয়েছেন এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট। অন্যদিকে, সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলির প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা এক কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯। মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণকারী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তার ঝুলিতে রয়েছে ইরানের দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।গত ২৮ জুন প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। সেবার পেজেশকিয়ান ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং জালিলি ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। এ কারণে শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। গত মে মাসে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা হয় দেশটিতে। এর আগে ২০১৩ ও ২০২১ সালেও পেজেশকিয়ান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি হাসেমি রাফসানজানিকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন এবং ২০২১ সালে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতা বাতিল করে। ইরানের ক্ষমতা বেশ কয়েক বছর ধরে রক্ষণশীলদের হাতে রয়েছে। তবে পেজেশকিয়ান মনোনয়ন পাওয়ায় সংস্কারপন্থিরা আশার আলো দেখছেন। নির্বাচনেও তার ফলাফলি প্রতিফলিত হয়েছে। ইরানের সর্বশেষ সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতামি পেজেশকিয়ানের প্রশংসা করেছেন। তিনি তাকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও যত্নশীল মানুষ বলে উল্লেখ করেন।