উত্তপ্ত আবহাওয়ার কথা শুনলেই আমাদের সবার আগে মনে আসে আরব দেশগুলোর কথা। ধূ ধূ মরুভূমিতে পূর্ণ এলাকাটিতে তীব্র গরমে প্রাণ অতিষ্ঠ- এমন দৃশ্য ভাসতে থাকে কল্পনায়। অথচ গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষ দশের একটিও এ অঞ্চলের নয়। বরং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশই বেশি।
তাপমাত্রা বিষয়ক ওয়েবসাইট এলডোরাডো ওয়েদার ডটকমের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরম পড়া শহরটি ছিল মিয়ানমারে। নাম চাউক। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দ্বিতীয় সেনেগালের শহর লিঙ্গুর। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তৃতীয়-চতুর্থ স্থানেও রয়েছে সেনেগালের দুটি শহর। এর মধ্যে মাতাম শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পোডরে ৪৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চম স্থানে থাকা মিয়ানমারের ম্যাগওয়ে শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ষষ্ঠ স্থানে আবারও সেনেগাল। এর ডিওরবেল শহরটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সপ্তম স্থানে আফ্রিকার আরেকটি দেশ চাদের ন’জামেনা শহর। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অষ্টম, নবম, দশম- পরের তিনটি স্থানেই রয়েছে মিয়ানমারের নাম। সেখানে যথাক্রমে মিনবু শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নিয়াং-ইউ শহরে ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং টুংগু শহরে ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অর্থাৎ, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের শীর্ষ ১০টি উত্তপ্ত শহরের মধ্যে পাঁচটিই ছিল মিয়ানমারে। আর সেনেগালের ছিল চারটি।
এর পরের পাঁচটি স্থানের মধ্যে যথাক্রমে পাকিস্তানের নওয়াবশাহ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৌদি আরবের আল আহসা শহরে ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, একই দেশের দাম্মামে ৪৩ দশমিক ৩, মিয়ানমারের প্রোম শহরে ৪৩ দশমিক ৩ এবং নাইজারের বির্নি-এন’কনি শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সেই হিসাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত ১৫ শহরের মধ্যে নয়টি এশিয়ায় এবং ছয়টি ছিল আফ্রিকা মহাদেশে।
এখানে উল্লেখ্য, আবহাওয়ার এসব তথ্য ওজিমেট ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করেছে এলডোরোডো ওয়েদার ডটকম। ওজিমেট মূলত অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্য ব্যবহার করে, যার বেশিরভাগই নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ন্যশনাল ওসিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) থেকে। এসব তথ্য ভুল-ভ্রান্তির ঊর্ধ্বে নয় বলে ওজিমেটের ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে।