Posted on Mar 23, 2024 03:27:52 PM.
রোজার ইফতারে যতই আয়োজন করা হয় না কেন মুখরোচক খাবারের
সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের শরবত থাকেই, সঙ্গে ফলমূলও থাকে। এর মধ্যে আনারসও রাখেন
অনেকে। এটি টক স্বাদের ফল হলেও এর উপকারিতা অনেক। তাই আনারসের গুনাগুণ
সম্পর্কে প্রত্যকের ধারণা রাখা উচিৎ।
যেসব উপকার মিলবে আনারসে:
দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে থাকে। মাড়ির সমস্যা দূর করতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া নিয়ম করে প্রতিদিন পরিমাণ মতো আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ অনেক কম হয় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
পুষ্টির অভাব দূর: আনারসকে পুষ্টির উৎসও বলা হয়ে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে।
এসব উপাদান শরীরে পুষ্টির অভাব পূরণ করতে ভূমিকা রাখে। এ জন্য প্রতিদিন অল্প পরিমাণ করে হলেও আনারস খাওয়া উচিত।
ওজন কমানো: যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আনারস জাদুকরী ফল। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলে ফ্যাট খুবই কম। সকালে ফলমূল খাওয়ার সময় কয়েক টুকরো আনারস বা সালাদে আনারস কিংবা এর জুস খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এ জন্য শরীরে বেড়ে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন কমাতে নিয়মিত আনারস খেতে পারেন।
হাড়ের সুস্থতা: আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে মজবুত করে তোলে। এ জন্য প্রতিদিন পরিমাণমত আনারস খেলে হাড়ের সমস্যায় ভালো ফল পাওয়া যায়।
হজমশক্তি বৃদ্ধি: হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে আনারস। এতে ব্রোমেলিন রয়েছে, যা হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
চোখের উপকারিতায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে- আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে রক্ষা করে থাকে। মূলত এ রোগটি চোখের রেটিনা নষ্ট করে এবং মানুষ ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যায়। তবে আনারস বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় নিয়মিত খাওয়ার ফলে চোখের ভয়াবহ এ রোগের সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।